কুমিল্লার তিতাসের ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মোল্লা হত্যার বছর অতিবাহিত হলেও আসামি পক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর-লুটপাট থেমে নেই।
বিবাদীরা অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকান্ড ঘটনার দিনই অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক লুটপাট করা হয়। তারপর পর্যাক্রমে একাধিক আসামির বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেও ক্ষান্ত হননি বাদী পক্ষের লোকজন।
তারই জের ধরে শনিবার বিকালে সরেজমিনে মানিককান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার সকাল ১২ টায় একদল দুর্বৃত্ত খুরশিদ মিয়ার ছেলে আলাল মিয়া, হেলাল মিয়া ও ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে জানারুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও মারপিট করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও জহির হত্যা মামলার আসামিসহ ২৫-৩০ টি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে বিবাদী পক্ষের।
এবিষয়ে মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা আলাল মিয়ার স্ত্রী সুহিলা বেগম (৪৫) বলেন, জহির হত্যায় আমরা আসামী না হলেও আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। এক বছর পর বাড়িতে গিয়েছি কিন্তু তার পরও আমাকে রেহাই দেয় নাই। তাহের আলীর ছেলে জিন্নাহ, মোস্তাকের ছেলে মেহেদি হাসান ও আসামুূদ্দিনের ছেলে হান্নানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল আমার শ্লীলতাহানি করেছে। আমার ঘর ভাংচুর করেছে।
বর্তমানে সুহিলা গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিন্নাহ ও মেহেদি বলেন, আমরা এই বিষয়টি জানিই না। কে বা কারা করছে আমরা বলতে পারব না। আমরা কুমিল্লা ছিলাম। প্রমাণ চাইলে দিতে পারব। তারা মিথ্যা কথা বলছে।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিকেলে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে আরেকটি অঘটন।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com