কুমিল্লার তিতাস উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানুর বিরুদ্ধে,দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ করেছেন শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে শিক্ষক সমাজ।
এর আগেও তারা গত ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে লায়লা পারভীন ভানুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন ৩৫৬ জন শিক্ষক। অভিযোগের পর উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন, গাজীপুর খান স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষকসমাজ। চলতি বছরের ২২ মার্চ বিগত সময়ে শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হলেও কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বিধায় তারা কুমিল্লা-১ আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূইয়ার সুপারিশ নিয়ে তিতাস উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন ভানুর বদলী চেয়ে আবারও দরখাস্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
এর আগে কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার বদলীর সুপারিশ করেছিলেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক নেতা বাতাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আক্তার হোসেন, গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম ও জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাখাওত হোসেন বলেন,
শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের সাথে সব সময় খারাপ আচরণ করে। তার অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। শিক্ষকদের প্রমোশনের জন্য হিসাব কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে নিয়েছে। এই ১ হাজার টাকা থেকে কি উনি পার্সেন্টিজ নেয় না? উনার সম্মতি ছাড়া কি তোফাজ্জল টাকা নিতে পারবে? শিক্ষকদের হয়রানিসহ নানাহ অনিয়ম তিনি করেই যাচ্ছেন! মেঘনা উপজেলা থেকে তিনি বদলী হয়েছিলেন একই কারণে। তিতাসের সকল শিক্ষক সমাজ লায়লা পারভীন ভানুকে চায় না। আমরা তার অপসারণ চাই। নিজের বদলী ঠেকাতে সাধারণ শিক্ষকদের ভয়ভীতিি দেখিয়ে সাক্ষর নিচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানু বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। আমাকে বদলীর জন্য কতিপয় শিক্ষক যে অভিযোগ করেছেন এবং তারা সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে যে সাক্ষর নিয়েছেন তা তারা দেন নি। তাদের সাক্ষর যাচাই করার অধিকার আমার রয়েছে।
তিনি সাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও তার অনুসারী কতিপয় শিক্ষক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ম্যাডাম যাতে বদলী না হয় সে জন্যই আমরা সাক্ষর দিয়েছি এবং ম্যাডাম শিক্ষকদের কাছ থেকে সাক্ষর নিচ্ছেন। তবে কিছু শিক্ষক অভিযোগ করেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে সকল শিক্ষকদের ঢেকে এনে উপস্থিতি বুঝিয়ে আমাদের কাছ থেকে সাক্ষর নিয়েছেন। কড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সাক্ষর করেও সাক্ষরশীট ছিড়ে ফেলেন।
শিক্ষকদের দাবি এই বদমেজাজী অফিসারকে আমরা আর চাই না। তারা বলেন, তিনি কতিপয় শিক্ষককে উনার পাশে বসিয়ে রাখেন, তারা স্কুলে অবস্থান না করে শিক্ষা অফিসারের অফিসে বসে থাকেন।