গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে তিতাসে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ১৫ মে সোমবার রাত সাড়ে সাতটায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে একটানা পৌনে নয়টা পর্যন্ত। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী ও আলীনগর গ্রামের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কদমতলী আলীনগর কালভার্টের নিকট জমিতে ৫-৬ জন যুবক বসে গাঁজা সেবন করছিল। আলীনগর গ্রামের নোয়াব ভূইয়ার ছেলে কবির হোসেন রাস্তা দিয়ে যাবার সময় যুবকদের কি করছো জিজ্ঞেস করায় তারা জানায় গাঁজা খাই। এই নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলো নোয়াব ভূইয়ার ছেলে কবির হোসেন, মহসিন সরকারের ছেলে মোসলেহ উদ্দিন, মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে শাহিন, আজগর আলীর ছেলে জিলানী, কদমতলী গ্রামের মোর্শেদ ও তার ভাই কাশেম। কাশেম গুরুতর আহত হয়ে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ঘটনার প্রায় এক ঘন্টা পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে, তিতাস থানার ওসি সুধিন চন্দ্র দাস বলেন, কল পাওয়ার পরপরই আমি এসআই মাজহারুল ও এইআই তপনকে ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং সাথে সাথে আমিও চলে আসি। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে আসতে ১০-১৫ মিনিট সময় লেগেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা হতে পারে না। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
সংঘর্ষে কদমতলী গ্রামের যারা নেতৃত্ব দেয় তারা হলো, বুইদ্দা মিয়ার ছেলে ইয়াকুব, মুর্শিদ মিয়ার ছেলে হাসান, জাকিরের ছেলে ফয়সাল, মায়া মেম্বারের ছেলে নাঈম, সোহেল, আরিফ ও রমিজ প্রমূখ।
অপরদিকে আলীনগর গ্রামের নেতৃত্ব দেন নোয়াব ভূইয়ার ছেলে কবির হোসেন, মহসিন সরকারের মোসলেহ উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
কদমতলী গ্রামের মোর্শেদ মিয়া বলেন,মহসীন সরকারের ছেলেকে কদমতলী গ্রামের ছেলে ধরে নিয়ে আসে আমরা মুরব্বিরা তাকে ছেড়ে দেই। ছাড়া পেয়ে সে রাম দা, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মোসলেহ বলেন, আমি পানির স্কীমে বসে আছি। কোন কারণ ছাড়াই তারা আমাকে তুলে নিয়ে বেড়ক মারধর করে। মায়া মেম্বারের ছেলে নাঈমের নেতৃত্বে দা, চাইনিজ কুড়াল, শাবল, চল, রাম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের গ্রামে এসে হামলা চালায়। আমরা এর বিচার চাই। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শান্ত/অননিউজ