তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামে রাতের আঁধারে এক কৃষকের ড্রাগন বাগানের প্রায় ২০০ ধরন্ত ড্রাগন গাছের ফুলে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
বাগানের অর্ধেকেরও বেশি ড্রাগন গাছের ফুলগুলো লেতিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার । ৩০ শতক জায়গা জুড়ে ১৫ টি সারিতে ১২ টি করে খুঁটি ছিলো। ২০২১ সালে শখের বসে বাগানটি তৈরি করেন ভিটিকান্দি গ্রামের কৃতি সন্তান জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। গতকাল ৭ জুন রাতের আঁধারে কোন এক সময় এমন হীন কাজটি করে কে বা কারা? বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব জায়গায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগানটির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, শখের বশে আমি বাগানটি করেছি। গত বছর প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল উৎপাদন করেছি। একটি ফলও বিক্রি করিনি। তিতাসের সকলের মাঝে উপহার হিসেবে পৌঁছে দিয়েছি। এ বছরও একই উদ্দেশ্যে ছিলো কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের কারণে হয়ত সেটি সম্ভব হবে না। সকলকে ড্রাগন খাওয়াতে পারব না।
আমার সাথে না পেরে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা? আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। আমি আর বেশি কিছু বলব না।
সাবেক মেম্বার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি বগত সময়গুলোতে বাগানটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শত্রুতাবশত এমনটি কেউ করে থাকতে পারে। গত বছরও সুধীজনদের বাসায় ড্রাগন ফল উপহার হিসেবে পৌঁছে দিয়েছিলাম। এবার হয়ত দিতে পারব না। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
বাগানটির কেয়ারটেকার রাজিব মজুমদার বলেন, গত দুই দিন মাটি কাটার কাজে ব্যস্ত থাকায় বাগানে আসতে পারিনি। আজ এসে দেখি গেইটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে স্প্রে করে কীটনাশক দিয়ে ফুলগুলোকে মেরে ফেলেছে। সম্ভবত বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। খুবই খারাপ লাগতেছে, কি হলো?
বিষয়টি পরিদর্শনে আসেন তিতাস থানার এসআই পূষণ সাহা। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পরিদর্শন করে গেলাম। বিশেষজ্ঞ কিংবা কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন, কেন এমন হয়েছে? তবে থানায় এখনো কোন জিডি/ অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিতাস উপজেলা উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম বলেন, বিষ প্রয়োগ, অতিরিক্ত গরম কিংবা পিঁপড়ার কারণে এমনটি হতে পারে। কিন্তু আমি দেখে বুঝতে পেরেছি পিঁপড়া হবে না। হয় স্প্রের সাহায্যে বিষ প্রয়োগ না হয় অতিরিক্ত গরমে এমনটি হতে পারে।
মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু ফল গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা! যারা এমনটা করেছে, তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল।