তিতাস( কুমিল্লা)প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে বসতঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে। জানা যায়, ভূইয়া বাড়ি ও সরকার বাড়ি দুই বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারই জের ধরে শুক্রবার রাত ১ টায় উপজেলার দক্ষিণ বলরামপুর সরকার বংশের প্রবাসী শাহপরান এর একটি টিনের বসতঘর ভাংচুর এবং আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে ভূইয়া বংশের শেখ সাব গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং সাধারণ এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সরকার বাড়ি ও ভুইয়া বাড়ির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। শেখ সাব চলাচলের জন্য মসজিদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং সরকার বাড়ির লোকজন আবার পাল্টা দখল করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা মামলা চলতেছে। যা কারো জন্যই কাম্য না। এ রকম কর্মকান্ড নিয়ে আমরা গ্রামবাসী আতংকে আছি এবং এটি নিয়ে যে কোন সময় খুনসহ মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সরকার বংশের প্রবাসী শাহ পরানের স্ত্রী শেপী বেগম বলেন, ভূইয়া বাড়ির শেখ সাব গংদের সাথে মসজিদের জায়গা নিয়ে আমাদের এক মাস ধরে মারামারি ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে আমরা মামলা গুলো যাতে তুলে নেই এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে আমাদের পরিবারকে। তারই জের ধরে আজ শুক্রবার (২৬ মে) রাতে ভূইয়া বাড়ির শেখ সাবের ছেলে বাবু এবং তার আত্মীয় বড় বাড়ির আজহার, মুকবুল মেম্বার, দুলাল, আলালসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের বাড়ির একটি বসতঘর ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলেছে এবং আমার মা বিউটি বেগম তাদের দেখে ফেললে তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার ও আগুন দেখে আশেপাশের লোকজন মসজিদে মাইকিং করলে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে শেখ সাবের স্ত্রী বলেন, আমরা টাকা দিয়ে তিন শতক জায়গা কিনেছি। জায়গটি আমরা দখলে আছি সরকার বাড়ির লোকজন কয়েকদিন আগে জোরপূর্বক আমাদের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলেছে এবং একটি দু'চালা টিনের ঘর ভেঙ্গে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তারা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিয়েছে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য। আমার ছেলে বাবু ঘর থেকেই বের হয়নি, সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করেন। অভিযুক্ত শেখ সাবের আত্মীয় ইউপি সদস্য মুকবুল হোসেন মেম্বার বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা আমি তাদের আত্মীয় বলে তারা আমাকে দোষারোপ করছে এবং আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দিয়েছে। এবিষয়ে তিতাস থানায় যোগাযোগ করা হলে, জানা যায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা বা কোন অভিযোগ হয়নি।
এসকেডি/অননিউজ