কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর বাজারে পূর্ব বলরামপুর মৌজায় ভূমিদস্যু ও অবৈধ দখলকারী জাল দলিল সৃজনকারী মোজাম্মেল গংদের দাখিলকৃত মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফারুক গং।
১৪ মে রবিবার সকালে মাছিমপুর বাজার মোবারক সরকার সুপার মার্কেটের নীচতলায় ইকবাল হোসেন বাবুল এর ভাড়াকৃত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করেন ফারুক গং। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ফারুক গংদের পক্ষে জিএম আনিসুর রহমান জুয়েল বলেন, তিতাস উপজেলাধীন মাছিমপুর বাজার পূর্ব বলরামপুর মৌজায় জেলা এল নং ১২৫ হালে জে এল নং ৫৭ সি এস খতিয়ান নং ১৩৯ এসএআর ও এস খতিয়ান নং ১৫২ বি এস খতিয়ান নং ১০৮৫ সাবেক ৫৭ দাগে হালে ১৪ দাগে ৩১ শতক বোরো কৃষি জমি সি এস মুলে হাড়াই, তমিজ উদ্দিন,রমিজ উদ্দিন মালিক হয়ে মৌখিক বিক্রি করার কারণে খরিদ সূত্রে রাম কানাই সাহা মালিক হয়ে দখলদার থাকিয়া মৃত্যুবরন করার পর মৃত রাম কানাইয়ের পুত্র ললিত মোহন পোদ্দার ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হয়ে মোঃ মোশাররফ হোসেন,সহিদ সোলেমান সর্ব পিতা ফজলুল হক গ্রাম আবদুল্লাহপুর হোমনা কুমিল্লার নিকট ১৯৭২ সালের ৩১ শে জুলাই সাবকবলা দলিল মূল্যে বিক্রি করে যাহার দলিল নং ৩০৩০, ক্রয় সুত্রে মোঃ মোশাররফ হোসেন ও সহিদ সোলেমান মালিক হয়ে দখলদার থাকিয়া তাহাদের নিজ নিজ নামে ১০৮৫ খতিয়ানে ১৪ দাগে ৩১ শতাংশ বোরো কৃষি জমি বি এস চুড়ান্ত ও রেকর্ড ভুক্ত করিয়া ভোগ দখল করা অবস্থায় ২০১৫ সালে মোঃ মোজাম্মেল হক পিতা মৃত মহিউদ্দিন গং অবৈধ ভূয়া দলিলের মাধ্যমে জোড় পূর্বক উল্লেখিত ভুমি দখল করে ফেলে এবং একই বছর উক্ত জায়গাটি স্থিত অবস্থার জন্য দেওয়ানী কোর্টে মামলা করার পরও কোর্ট থেকে স্থিত অবস্থা আদেশ আনতে পারেনি ২০১৫ সাল থেকে এপর্যন্ত অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। এদিকে উক্ত ভুমির মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন ও সহিদ সোলেমান গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সালে মোঃ ফারুক, পিতা আকরম আলী, গ্রাম মাছিমপুর,মোঃ আজিজুর রহমান, পিতা মোঃ ফজলে রাব্বানী শিকদার গ্রাম কালাইগর গোবিন্দ পুর, মোঃ শাহ আলম, পিতা ইসমাইল,গ্রাম বন্দরামপুর,মোঃ মাঈন উদ্দিন পিতা মৃত্যু ফজলুর রহমান গ্রাম পাংগাশিয়া, মোঃ ইকবাল হোসেন বাবুল পিতাঃ মোঃ আউয়াল,মোঃ হানিফ সরকার পিতা মোঃ জুরু মিয়া উভয় গ্রাম মাছিমপুর,জিএম আনিসুর রহমান জুয়েল, পিতা মৃত জি এম মোশারফ হোসেন গ্রাম নাগেরচর, মোঃ হাবিব সরকার পিতা মৃত মিজান সরকার, গ্রাম মাছিমপুর এর নিকট সাব কবলা দলিল মুলে বিক্রি করে দলিল নং ১২২০২।
উল্লেখিত ভুমি ক্রেতাগনেরা ক্রয় সুত্রে নিজ নিজ নামে নাম জারী করার জন্য ১৩ ই মার্চ ২০২৩ সালে আবেদন করেন যাহার আবেদন নং ৪৭২৪৮৭১ নামজারী মামলা নং ৪,২০০(LX-I) ২০২২-২৩ অনলাইন ডিসায়ার নং ২৩১৯৯৪০৫৭০৪২০০ যাহার নাম জারী খতিয়ান নং ১৩১৯ আমরা দেশের ভূমি সংক্রান্ত সকল আইন সম্মুনত রেখে উক্ত ভুমি ক্রয় করি এবং নিজ নিজ নামে নাম জারী করি। নিজ নিজ নামীয়,ভূমি দখল করতে গেলে মোজাম্মেল হক বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করতেছে।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, উক্ত ভূমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলতেছে মামলা চলমান অবস্থায় তারা কিভাবে ভুমি ক্রয় করে তা আমার জানা নেই, সিএস মালিক থেকে আমার দাদা আলতাব আলী উক্ত ভূমি ক্রয় করে আর এস খতিয়ান রেকর্ড ভুক্ত করে, ভুলক্রমে আমাদের নামে উক্ত সম্পত্তি বি এস রেকর্ড হয়নি তাই উক্ত ভূমির বিএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য কোর্টে মামলা চলমান বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল এল এস টি ২৩১১/১৭ নং মোকাদ্দমা চলমান আছে এবং একই সম্পত্তি নিয়ে মোকাম কুমিল্লা বিজ্ঞ দাউদকান্দি সিনিয়র জজ আদালতে দেওয়ানী ১৫/১৮ নং চিরন্তন নিষেধাজ্ঞা মোকাদ্দমা চলিত অবস্থায় আছে।
বিজ্ঞ দাউদকান্দি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বিগত ২৭/০২/২০২৩ই তারিখে মোকদ্দমার নিষেধাজ্ঞার আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পূর্ব পর্যন্ত নালিশি ভূমি বেচাকেনা কিংবা হস্তান্তর না করার জন্য স্থিতাবস্থা আদেশ প্রদান করে। যাহা বহাল ও বলবৎ আছে। উক্ত ভূমি নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। সকল কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে কোট রায় প্রদান করলে তখনই বুঝতে পারবেন ভূমির সঠিক মালিক কে?