কুমিল্লার তিতাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস-২ ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপ-সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল মতিন খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় নিজ গ্রামের বাড়ি তিতাস উপজেলার মাছিমপুরে মতিন খানের বিরুদ্ধে ৮ টি অভিযোগের প্রতিটির লিখিত জবাব দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক। বিএনপির মতো বিশাল ও জনপ্রিয় দলের প্যাডে রেজুলেশন করে এমন ডাহা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন জনগণকে বিভ্রান্ত করারই নামান্তর।
আমি যদি দুর্নীতিবাজ হতাম তাহলে বেগম জিয়ার মতো দুরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন নেত্রী কেন পাঁচ বছর (২০০১-২০০৬) আমাকে উনার সহকারি একান্ত সচিব রেখে ছিলেন।
আমি কোন দিন আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং আ'লীগের কাউকে সহযোগিতা করিনি বরং ম্যাডাম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে হোমনা-তিতাসের প্রায় সহস্রাধিক যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।
আমি ১০০% বিএনপি মনোভাবাপন্ন একজন সরকারি চাকুরিজীবী ছিলাম। যার কারণে আ'লীগ সরকার আমাকে ১৪ বছর ওএসডি করে রেখেছিলো। আমার কোন প্রমোশন কিংবা পোষ্টিং দেয়নি। আমি অন্যান্য নেতাদের মতো ভিন্ন দল থেকে বিএনপিতে আসি নি।
বিএনপি আমার প্রথম এবং বিএনপিই আমার শেষ। দুদক, এনবিআর ও সিআইডির অনুসন্ধানে আমার অবৈধ সম্পদের কোন খোঁজ পায়নি, তাই দুদকের মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পেয়েছি। যা দেশের ৮/১০ টি জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।
বিএনপির প্রয়াত মন্ত্রী জনাব এমকে আনোয়ারকেও তারা বিতর্কিত করার অপ-প্রয়াস চালিয়েছে। তিনি জীবদ্দশায় সব সময় আমাকে পাশে রাখতেন এবং হোমনা-তিতাসের উন্নয়নে কাজ করতেন। তিনি আমাকে চোর বলেছিলেন, বিষয়টি অবিশ্বাস্য! বরং তাঁর ছেলে কায়জার মাহমুদকে তিনি জিঞ্জেস করেছিলেন আমার অবর্তমানে তুমি কি রাজনীতির হাল ধরবে? তিনি না বলায়, আমার প্রস্তাব করলে মন্ত্রী মহোদয় সদয় সম্মত্তি দিয়েছিলেন। এবং ভালো প্রস্তাব বলে খুশি হয়েছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে আমি জিয়া পরিবারের Extended অংশের একজন সদস্য। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে আমি কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইব। যদি মনোনয়ন পাই আমি ইলেকশন করব আর যদি না পাই করব না। তবে যিনি নমিনেশন পাবেন তার পক্ষে কাজ করব ইনশাল্লাহ।
সবশেষে বলব, আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করে লাভ নেই! আমি কেমন হোমনা তিতাসের জনগণ অবগত আছেন।
উল্লখ্য গত ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে তিতাস উপজেলা বিএনপি, হোমনা উপজেলা বিএনপি ও হোমনা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খানের বিরুদ্ধে ৮ টি অভিযোগ আনেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজকের এই সংবাদ সম্মেলন করলেন।