তিতাসে হত্যাকান্ডের দেড় মাস পর রহস্য উদঘাটন
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ।।
কুমিল্লার তিতাসের বৃদ্ধা মিনরা বেগম হত্যাকান্ডের দেড় পর রহস্য উদঘাটন করেছে কুমিল্লা ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডি.বি) পুলিশ। প্রেমিক-প্রেমিকাকে এক রুমে দেখে ফেলায় প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও পরে জবাই করে এবং হাত পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
গত ১৩ জানুয়ারী দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে প্রথম আসামী অন্তর দাসকে জেল হাজতে প্রেরণের মাধ্যমে ক্লুলেস এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটনে সফল হন ওসি
ডি.বি রাজেশ বড়ুয়া (পিপিএম) এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল। এর আগে ১২জানুয়ারী সন্দেহভাজন হিসেবে ভিকটিমের ঘরে অস্থায়ী আশ্রিতা সাইফা আক্তারকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে সে আদালতেও হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ।
হত্যার দায় স্বীকার করা আসামীরা হলো, শোলাকান্দি গ্রামের শিপন সরকারের মেয়ে সাইফা আক্তার (১৭) ও পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গোপচর গ্রামের অন্তর দাস।
ডি.বি’র ওসি রাজেশ বড়ুয়া (পিপিএম) আদালতের বরাত দিয়ে এই প্রতিনিধিকে জানান, অভিযুক্ত সাইফা আক্তার ও অন্তর দাসের মধ্যে গত ৭/৮মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং মাঝে মধ্যে রাতে সাইফাদের বাড়িতে দেখা করতো অন্তর দাস। ঘটনার কিছু পুর্বে থেকে সাইফাদের বাড়িতে বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলমান থাকায় প্রতিবেশী তারা মিয়া সরকারের (ভিকটিম মিনরা বেগমের স্বামী) বিল্ডিং অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকতো ছোট দুই ভাই নিয়ে।
এই সুবাধে অন্তর দাসের সাথে অন্তরঙ্গতা আরো বেড়ে যায় এবং গত ৬ ডিসেম্বর রাতে ভিকটিম মিনরা বেগমের বিল্ডিং এ প্রবেশ করে। এসময় মিনরা বেগম দেখে ফেলায় উভয়ে মুখ চেপে ধরে ভিকটিমের ওড়না দিয়ে মুখে প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরে সাইফার প্রেমিক অন্তর চন্দ্র দাস পকেট থেকে ছুড়ি বের করে জবাই করে ও হাত পায়ের রগ কেটে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে সাইফা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে এবং অন্তর দাস পালিয়ে যায়।
ওসি আরো জানায়, সাইফা আক্তার এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এক বিষয় ফেল করে এবং স্কুলে আসা-যাওয়ার পথেই অন্তর দাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর রাতে তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে মিনরা বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে জবাই করে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সে সময় ভিকটিমের ছেলে আবুল বাশার ভাসানী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে তিতাস থানায় মামলা রুজু করা হয়েছিলো।