ভারতের মোকামে পেয়াজের লোডিং বন্ধের কারনে পেয়াজের আমদানি কমের অজুহাতে বেড়েই চলেছে পেয়াজের দাম।মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আবারো পেয়াজের দাম বাড়লো কেজিতে ৪থেকে ৫টাকা করে।
তিন দিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেয়াজ পাইকাড়িতে (ট্রাকসেল) ৩৫ থেকে ৩৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সাউথের বেলোরি জাতের পেয়াজের ৩৭টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৪৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পেয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারগনসহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন,গতসপ্তাহে কালীপুজার কারনে ভারতের পেয়াজের মোকামগুলিতে চারদিন কোন পেয়াজ লোডিং হয়নি এর ফলে হিলি সহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় একেবারে কমে গেছে।
এখন যে কয়টি পেয়াজের ট্রাক আসছে সেগুলো বন্ধের আগের লোডিং হওয়া পেয়াজগুলো আসছে। এছাড়াও ভারতের স্থানীয় বাজারগুলো থেকে বাড়তি দামে সংগ্রহ করা কিছু পেয়াজ দেশে প্রবেশ করছে।
যার ফলে চাহীদার তুলনায় বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কম হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় মুলত দাম বাড়ছে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধের কারনে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন মোকামে পেয়াজের বাড়তি চাহীদার কারনে পেয়াজের দামের উপর প্রভাব পড়ছে।
অপরদিকে দেশীয় পেয়াজের দাম আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ার কারনে আমদানিকৃত পেয়াজের দাম বাড়ছে। তবে কালীপুজার বন্ধ শেষে ভারতের পেয়াজের মোকামগুলোতে আবারো পেয়াজের লোডিং শুরু হয়ে গেছে।
তবে এসব পেয়াজ বন্দরে আসতে ৩/৪দিন সময় লাগে যার কারনে এসব পেয়াজ এখনো ঢোকা শুরু হয়নি।শনিবার থেকে নতুনভাবে লোডিং হওয়া পেয়াজগুলো বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে এতে করে পেয়াজের দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও আগের তুলনায় পেয়াজের আমদানি অনেকটা নিন্ম পর্যায়ে পৌছেছে। বন্দর দিয়ে আগে যেখানে ১৫ থেকে ২০ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হতো তা বর্তমানে কমে ৪/৫ ট্রাকে নেমেছে।
তবে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পেয়াজের আমদানি একটু বেড়েছে। এদিন বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ২০৯টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। যেখানে এর আগের দিন বুধবার বন্দর দিয়ে মাত্র ১টি ট্রাকে ২০টন পেয়াজ আমদানি হয়েছিল।পেয়াজ যেহেতু কাচাপণ্য ও দ্রুতপচনশীল তাই এটিকে সর্বচ্চো গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত খালাসের সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কতৃপক্ষ।