গত তিন দিনের হালকা ও ভারী বর্ষণে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৯ টি বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো বীজ তলা ও শাক সব্জির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- এলাকার অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক তাদের জীবনমান উন্নয়নে অন্যের জমি পত্তন রেখে বোরো বীজ তলা ও শীতকালীন সবজি চাষ করেছিলেন। কিন্তু, বীজ তলার আশে পাশের ড্রেন ও সরু খাল দিয়ে পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতার কারণে বেশীর ভাগ বীজতলার বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে বীজ তলাকে ডোবার মতো মনে হয়। তবে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. আফরীণা আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে
তিনি এ প্রতিবেদককে জানান- চলমান এ দূর্যোগ কেটে গিয়ে রুদ্র দেখা দিলে ৪/৫ দিন পর জানা যাবে কৃষকদের চাষকৃত ফসল ও বীজতলা কী পরিমাণ ক্ষতি সাধিত হয়েছে । কারণ অনেক ক্ষেত্রে বীজ তলা আপাতত পানি জমাটবদ্ধ থাকলেও ওই পানি তাড়াতাড়ি নীচু ভুমিতে সরে গেলে সেখানে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। তাই টাকার অংকের হিসেবেটা পরে জানা যাবে। আপাতত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বোরো বীজ তলা সহ অন্যান্য বীজতলার ক্ষতি যা ৩/৪ দিন পর কম বেশী হতে পারে সে অনুযায়ী বোরো বীজ তলা ও অন্যান্য ফসলের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা নিন্মরূপ: বোরো বীজ তলা প্রায় ৩৫ হেক্টর জমি, শাকসবজি ৮৭৫ হেক্টরের মধ্যে ৫১০ হেক্টর জমি, আলু ৬৯০ হেক্টর জমি, মিষ্টি আলু ২৫ হেক্টরের মধ্যে ২৫ হেক্টর, চীনা বাদাম ২ হেক্টরের মধ্যে ২ হেক্টর, গম ৫ হেক্টরের মধ্যে ৫ হেক্টর, পেঁয়াজ দেড় হেক্টরের মধ্যে দেড় হেক্টর, ভূট্টা ৭ হেক্টরের মধ্যে ৭ হেক্টর, ডাল জাতীয় শষ্য ১৫ হেক্টরের মধ্যে ১৫ হেক্টর, সরিষা ৬৫ হেক্টরের মধ্যে ৬২ হেক্টর, রসুন ২ হেক্টরের মধ্যে ২ হেক্টর, সূর্য্যমুখী ২ হেক্টর থেকে ২ হেক্টর। এর মধ্যে থেকে আংশিক ও সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত বীজ তলার ক্ষতির পরিমাণ এক নয়। তবে আশার কথা হচ্ছে বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে সার ও বীজ প্রদানে ব্যাপক ভর্তূকি দিয়ে আসলে ও শীতের এ মৌসুমে এভাবে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কৃষকদের দুর্দশার অন্ত থাকবে না ।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।