চিকিৎসা জনিত দুই মাসের ছুটি নিয়ে প্রায় তিন বছর থেকে অনুপস্থিত আছেন নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ডোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুসাররাত জাহান। এদিকে শিক্ষা বিভাগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে হাত গুছিয়ে বসে আসে। দীর্ঘ সময় প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজের ব্যাঘাতসহ পাঠদানে কমলমতি শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে বিদ্যালয়টি গিয়ে দেখা যায় অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা উপস্থিত নেই। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা ও তথ্য বোর্ডে ২০১৯ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষিকাকে অনুপস্থিত পাই এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন দাখিল করি। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারনে একাধিকবার কৌফিয়ত তলব করা হয়। কিন্তু তিনি জবাব দেননি। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। চিকিৎসা ছুটির পর থেকে শিক্ষিকার বেতন ভাতাদি অদ্যবধী পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, চলতি বছরের ২১ আগষ্ঠ উক্ত প্রধান শিক্ষিকা মুসাররাত জাহানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর জন্য বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগ বরাবর সুপারিশ পাঠিয়েছি। দেরিতে প্রতিবেদন পাঠানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তথ্য দেরিতে পাওয়া যায়।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, উক্ত প্রধান শিক্ষিকা ব্যাংকার স্বামীর সাথে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।