ইসরায়েলি বাহিনীর বুলেট, বোমার পাশাপাশি তীব্র শীত ও ক্ষুধায় দিন কাটাচ্ছে গাজাবাসী।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার কথা জানালেও গাজাবাসীর আতঙ্ক কাটছেই না। ইসরাইলি তাণ্ডবে ছিটকে পড়া গাজাবাসী এখন প্রকৃতির নির্দয়তার শিকার।
ফেব্রুয়ারির শেষ সময়ে ভারি বৃষ্টিপাত ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ও রাফার প্রতিটি অঞ্চল। ঘরবাড়ি ছেড়ে আসা বাস্তুচ্যুতরা অসহনীয় পরিস্থিতিতে দিনযাপন করছেন।
প্রায় ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডায়রিয়ায়। পাশাপাশি ফুসফুসে ইনফেকশনে ভুগছেন প্রায় দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া বেশিরভাগ মানুষই মস্তিষ্কের প্রদাহ, র্যাশ, স্কার্ভি, চিকেনপক্স, হেপাটাইটিসসহ নানান স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলোকে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মানবিক সহায়তাবাহী গাড়ি বহরও হামলার শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গাজার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ মানুষ অর্থাৎ ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার শিশুরা পানিশূন্যতার কারণে মারা যাচ্ছে এবং সেখানে যদি আরও সহায়তা না পৌঁছায় তবে আগামী দিন গুলোতে আরও হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাবে।
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ হাজার ৮৭৮ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭০ হাজার ২১৫ জন।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com