ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। এরইমধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। বিদ্যুৎহীন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। বাতিল হয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট। কোনো কোনো স্থানে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
নিউ ইয়র্কসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে দুই দেশের ২০ কোটিরও বেশি মানুষ।
টেক্সাস থেকে মেইন- ২ হাজার মাইলেরও বেশি এলাকাজুড়ে বয়ে গেছে আর্কটিক থেকে ধেয়ে আসা তুষারঝড়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় এই ঝড়। শুক্রবার তীব্রতা খানিকটা কমে এলেও বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে আবহাওয়া এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য মন্টানায় ফুটন্ত পানি বাতাসে ছিটিয়ে দেয়া মাত্রই তা তুষারে পরিণত হচ্ছে। এ রাজ্যে তাপমাত্রা ওঠা নামা করছে মাইনাস ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অধিকাংশ এলাকা ঢেকে গেছে বরফের পুরু স্তরে।
কানসাস ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ২৬ বছরের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বনিন্মে। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন সাউথ ডাকোটার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা। জ্বালানি সংকটে যা আরও তীব্র হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক, নিউজার্সিসহ উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে বন্যা।
মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর এ ঝড়কে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ অ্যাখ্যা দিয়েছে। বলছে, ঝড়ে ভোগান্তিতে দেশটির অন্তত ৬০ ভাগ মানুষ।
তুষারঝড় বয়ে যাচ্ছে কানাডায় অন্টারিও এবং কুইবেকের ওপর দিয়েও। ওইসব এলাকাও বিদ্যুৎহীন।
এছাড়া অধিকাংশ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বড়দিন ও বর্ষবরণকে সামনে রেখে দুই দেশেই ভোগান্তিতে ভ্রমণপিপাসুরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সূত্র- বিবিসি।