তৃতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় খালে ফেলে হত্যা, মা গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক।।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরপর দুই কন্যা সন্তান জন্মের পর আবারও মেয়ে জন্ম নেয়ায় নবজাতকে খালে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মা শারমিন আক্তারকে (৩২) গ্রেফতার করেছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে খালের কচুরিপনা থেকে ওই কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ওই নবজাতকটি উপজেলার শ্যামনগরের ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে। তবে খলিল রঘুনাথপুরে ঘরজামাই থাকতেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত ৮টার দিকে শিশুটির বাবা ইব্রাহিম খলিল থানায় এসে একটি ডায়েরি করতে চেয়ে বলেন- তার কন্যা শিশুকে নিয়ে মা শারমিন বিকেলে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘণ্টাখানিক পরে শিশুটিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

ওই শিশুর বাবার কথা অসংলগ্ন আর ও সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মা শারমিনের সঙ্গে কথা বলে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তাদের পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই কন্যা শিশু রয়েছে। দুই কন্যার পর আবারো কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ায় শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী খালে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন তিনি।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, খালের কচুরিপানার মধ্য থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশুর ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।

কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সরদার মুনসুর আলী জানান, পাঁচ দিন আগে কলারোয়ায় অপারেশন করে কন্যা শিশুটির জন্ম দেন মা শারমিন। সোমবার শেষ বিকেল থেকে ওই শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে শিশুর মা-বাবা বলছিলেন। তবে তাদের আচরণ ছিলো সন্দেহজনক।

এ ঘটনায় শিশুর দাদি খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। শিশুর মা শারমিনকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন সরকারসহ পুলিশ, ডিবি, পিবিআই।

সূত্রঃsomoy
আই/অননিউজ২৪।।

আরো দেখুনঃ