ত্রিশালের জিলানী ও তোফাজ্জল বাহিনীর বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আবুল কালাম হত্যাকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ত্রাসসৃষ্টিকারী ও ডাকাতদলের সদস্য জিলানী, লাল মিয়া ও তোফাজ্জলদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি এবং খুনি সন্ত্রাসীদের উৎপাত বন্ধসহ এলাকায় শান্তিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে কালাম হত্যার মামলার বাদি মোঃ সোহাগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় হারুন অর রশিদ, আলী ইমরান, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ সোহাগ বলেন, ত্রিশালের খাগাটি-জামতলা এলাকায় ৩টি খুনের ঘটনায় বর্তমানে আতংকের জনপদ হিসাবে গড়ে উঠেছে। কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি ও ডাকাত জিলানী, লাল মিয়া ও তোফাজ্জল বাহিনীর তান্ডবলীলায় খাগাটি-জামতলায় বসবাস করার কঠিন হয়ে পড়েছে। ভয়ংকর এই চক্রটি ২০১৮সালে খাগাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টারকে হত্যা করে। কিলার ও ডাকাতদলের সদস্য তোফাজ্জলের নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ড ঘটে। মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যাকান্ডে কেউ যাতে মুখ না খুলে এবং সাক্ষি না দেয়, সেই পরিকল্পনায় গ্রামের অসহায় নিরীহ রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, রফিকুল হত্যাকান্ডে তিনি (সোহাগ) সাক্ষি। হত্যা মামলায় সাক্ষি হওয়ার কারণে জিলানী, লাল মিয়া ও তোফাজ্জল নামীয়রা সোহাগকে হত্যার হুমকি দেয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে খুজতে থাকে।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে সোহাগ ঈদগাহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে জামতলী তিনরাস্তা মোড়ে জিলানী, তোফাজ্জল, লাল মিয়াসহ অন্যান্যরা পুর্ব পরিকল্পনানুসারে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করে। চক্রটি তাকে এলাপাথারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। সোহাগের ডাকচিৎকারে তার ভাই আনোর হোসেন, চাচা আবুল কালাম, চাচাতো ভাই আলী ইমরান চক্রটি তাদেরকেও মারাত্বক আহত করে। আহত আবুল কালাম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান। এ ঘটনায় সোহাগ বাদি হয়ে জিলানী, লাল মিয়া ও তোফাজ্জলসহ অন্যান্যদের নামে ত্রিশাল থানায় মামলা নং ২৫ (৪)২২ দায়ের করে। হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে খুনি চক্রটি সোহাগ ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকারী খুনি, ডাকাতচক্রের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আহমদ আলী আকন্দ, হারুনুর রশিদ, আল ইমরান, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আনোয়ার।