ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপজেলা ল্যাবরেটরী স্কুল পেয়ে স্থানীয় এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হয়েছেন। ২০২৩ শালের চলতি বছরের শুরুতেই এই স্কুলটি যাত্রা শুরু করে হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় এবং উপজেলা পরিষদের কর্মচারিদের সন্তানদের ভর্তির কারণে। উপজেলা প্রশাসন ল্যাবরেটরী স্কুলটি ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই স্কুলটি। এখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি থেকে শুরু করে এলাকার অসহায় পরিবারের সন্তানরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে এই বিদ্যালয়টিতে।
জানা গেছে ত্রিশাল শহরের ২ নং ওয়ার্ডের ভিতরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে নিরিবিলি পরিবেশে এ বিদ্যালয়টি এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।স্কুলটি এখানে প্রতিষ্ঠিত করার আগে নদীর তীরবর্তী এলাকাটি ছিল নিরব নিস্তব্ধ এখানে ছিলো মাদকের স্পট। দিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সময় পরতে হত ইভটিজিং শিকার। সন্ধ্যার পর থেকে নেশাখোরদের জমত জমজমাট আড্ডাখানা। এই বিষয়টি এলাকাবাসী এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করে এখানে অত্র এই এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করেন।
সিসি ক্যামেরা দেওয়ার পর বর্তমানে নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে নেশাখোরদের আড্ডাখানা।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এই অবহেলিত জায়গাটিতে সুন্দর মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে উপজেলার ল্যাবরেটরী স্কুল। বর্তমানে সুশৃংখল পরিবেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। বাধ্যবাদকতা নেই এই স্কুলে যে কেউ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান লেখাপড়া করতে পারবেন। সবার জন্য রাখা হয়েছে উন্মুক্ত এ বিদ্যালয়টি। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি জনকল্যাণকর ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় আব্দুল করিম বলেন, আমাদের কাছাকাছি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। এখানে এই স্কুলটি চালু করায় ভালো হয়েছে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কাছে তাই আমরা আনন্দিত।
অন্য আরেকজন বলেন এখন আধুনিক যুগ যতবেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।