উৎসব, আনন্দঘন পরিবেশ ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করলেও লড়াই হয়েছে দুই প্রার্থীর মধ্যে।
নির্বাচনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে নিশছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেদিয়ে ভোট গ্রহণ শুরু ও সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যানের ছেলে বিএনপিনেতা আমিনুল ইসলাম সরকার (নারিকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে ১০২৮৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন বর্তমান এ.বি.এম আনিছুজ্জামান এমপির সহধর্মিণী শামীমা আক্তার (জগ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৪৫ ভোট। এছাড়াও অপরপ্রার্থী নূরুল হুদা শিবলু (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ত্রিশাল পৌরসভা উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহমেদ।
সাধারণ মানুষের উৎকন্ঠা ও শঙ্কা থাকলেও এই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ত্রিশাল পৌরসভার ভোটারগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইভিএম-এ প্রথমবার ভোট হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটাররা ভোট প্রদানে কোন সমস্যা হয়নি বলে জানান ভোটাররা তারা তাদের পছন্দ মত ভোট দিতে পারে আনন্দিত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবিএম আনিছুজ্জামান। তিনি স্বতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন। মেয়র পদ শূন্য হওয়ায় অনুষ্ঠিত পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন তাঁর সহর্ধমিনী শামিমা আক্তার।
নবনির্বাচিত মেয়র আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার ফলাফল ঘোষণার পর বলেন, আমি শংকিত ছিলাম সুষ্ঠু ভোট হয় কিনা, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় জনগণ বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেছে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে আমিন সরকার এ বিজয় জনগণের আমি জনগণকে উৎসর্গ করলাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহম্মেদ বলেন, সকল বিভাগের কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট প্রশাসেনর সার্বিক সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে পেরেছি। এই নির্বাচনকে সকল প্রকার শঙ্কামুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।
এফআর/অননিউজ