ত্রিশাল পৌরসভা উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও১৫২ ময়মনসিংহ ত্রিশাল-৭ আসনের এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংহ। জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ময়মনসিংহ। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ময়মনসিংহ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ও ত্রিশাল উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার বলেন, এমপি এ. বি এম.আনিসুজ্জামান আনিছ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গোহাটা ময়দানে মাদ্রাসৃতুন নুর ইসলামী সভায় তার বক্তৃতায় মেয়র প্রার্থী তার স্ত্রী শামীমা আক্তার এর পক্ষে ভোট চান এমপি আনিছ। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে,পৌর বাজারের মোড়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানে বসে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন এবং ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন পাবলিক পরিবহন সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল আঠাযুক্ত হ্যান্ডবিল স্টিকার দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যাহা স্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন হয়।এর ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। সংসদ সদস্যের এমন কার্যক্রম নির্বাচনের আচরণবিধির( ১) ধারার ১২ উপধারার সরাসরি লঙ্ঘন। এতে পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান আনিছ তিনি প্রচারণায় অংশ গ্রহণই করেননি, তিনি মেয়র প্রার্থী স্ত্রী শামীমা আক্তারের পক্ষে সরাসরি (জগ) পতীকের পক্ষে ভোট চাইছেন। যা সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার নিজের ৩নং ওয়ার্ডের একজন কর্মী মুশাকে প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে , বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং হুমকি দিচ্ছে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য। আমি চাই নির্বাচন কমিশন প্রভাবমুক্ত হয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ তার বক্তব্য বলেন আমি কোন পৌরসভা নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘন করি নাই।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জুয়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন পক্ষপাতমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন সজাগ রয়েছে। উনাকে চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এফআর/অননিউজ