সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। মুক্তির বিষয়টি সুনির্দিষ্ট না হলেও নাবিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে পরিবার ও মালিকপক্ষের। একইসঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আর এই যোগাযোগ বা ভাষা জটিলতা সমাধানে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে দস্যুরা।
জাহাজে জিম্মি ওয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন তার পরিবারের কাছে ফোন করে সেই কৌশলের কথা জানিয়েছেন। শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে আমার শ্যালক ফোন করে জানিয়েছে তারা সুস্থ আছেন। তবে, কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে।
এদিকে, এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ