দাউদকান্দির গৌরীপুরে খিদমা ডিজিটাল হসপিটালে ৭ মাসের অন্তঃসত্বাকে সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার দাউদকান্দির গৌরীপুরের খিদমা ডিজিটাল হসপিটালে এই ঘটনাটি ঘটে।
মৃত নবজাতকের মা ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার
স্বর্ণেহারের অভিযোগ, ‘খিদমা ডিজিটাল হসপিটালের মালিক দেওয়ান সাইফুল ইসলাম স্বপন টাকার লোভে আমাকে সময়ের বহু আগেই সিজার কর ফেলেন। যার ফলে, আমার বাচ্চা মারা যায়। আমি এই হত্যার বিচার চাই’।
তিনি আরও জানান, আমি যখন খিদমা ডিজিটাল হসপিটালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যাই, তখন হসপিটালের মালিককে (ডাক্তার!) বলি, আমি ৭মাসের অন্তঃসত্বা। ডাক্তার নামধারী হসপিটালের মালিক দেওয়ান সাইফুল ইসলাম স্বপন নিজেই আমার আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন এবং বলেন আপনাকে এখনই সিজার করতে হবে। নয়তো আপনার সমস্যা হবে। তার কথায় ভয়ে আমরা রাজি হয়ে যাই। অসময়ে আমার সিজার করে তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই’।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা আক্তার স্বর্ণেহার। তিনি খিদমা ডিজিটাল হসপিটালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গেলে, হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বলেন দ্রুত সিজার করতে হবে। তখন তারা সিজারের জন্য ১০ হাজার টাকা চুক্তি করেন। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ডাঃ সিফাত হোসেন রত্না তাকে সিজার করে একটি মেয়ে বাচ্চা বের করেন।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকায় প্রেরণ করেন হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। স্বর্ণেহারের পরিবার দ্রুত ঢাকার মাতুয়াইল হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক অনেক আগেই মারা গেছেন বলে জানান।
এদিকে হসপিটালের মালিক দেওয়ান সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘যখন নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখেছি, তখন তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেছি। আমার হসপিটালে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নাই। আমি এর জন্য দায়ী না’।
গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে খিদমা ডিজিটাল হসপিটাল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে’।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নবজাতকের বাবা জামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
জেনিফার__________৬সেপাটেম্বর ২১