কুমিল্লার মুরাদনগরে দাফনের ১৯ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হলো পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সোহাগী আক্তারের (১৩) মরদেহ। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সোহাগী স্থানীয় কামারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং আল-আমীনের প্রথম স্ত্রীর বড় মেয়ে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোহাগীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, তার পিতা ও সৎ মা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নির্যাতন করছিলেন। ঘটনার দিন নির্যাতনের এক পর্যায়ে হত্যা করে পরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে মৃত্যুর পর কোনো প্রকার পুলিশি অনুমতি ছাড়াই সোহাগীর পিতা তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করেন, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
নিহতের নানা কালু মিয়া দুই দিন পর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোহাগীর বাবা আল-আমীন ও সৎ মাকে প্রধান আসামি করা হয়।
পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার প্রশাসনের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খান, মুরাদনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খান বলেন, "আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।"
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, "২০ সেপ্টেম্বর নিহতের নানা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
jn