দায়িত্বপালনে ব্যর্থ ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ইন্ধনের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁঁচ দফা দাবি আদায়ে অবশেষে আমরণ অনশনে বসেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। টানা ১০দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেও কোনো ফলাফল না আসায় শেষ পর্যন্ত অনশনের পথ বেঁচে নিয়েছেন তাঁরা। রোববার বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন তাঁরা।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন গত ৮ মার্চ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন তাজান্না ভূইঁয়া কনফেকশনারি দোকানের সামনে ‘প্রক্টর সমর্থিত’ ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসের বাইরের অংশের হাতে হামলার শিকার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, একই হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’এ আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের দাবিসমূহ আদায়ের জন্য আল্টিমেটাম দেন। একই সময়ে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন তাঁরা।
তাঁদের আল্টিমেটাম দেওয়া সময়ের মধ্যে উত্থাপিত কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে অনশনকারী শিক্ষার্থী কাজল হোসাইন বলেন, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে স্বান্তনা দিয়ে চলে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) প্রক্টর ওমর সিদ্দিকী ও উপাচার্য অধ্যাপক এএফএম আবদুল মঈনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল ও খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কার্যালয়ে গেলেও সাংবাদিকদের সাথে দেখা করেননি।
শান্ত/অননিউজ