কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের কামরুল মিয়ার
খামার থেকে লুট হওয়া গরু-ছাগল স্থানীয় ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঁদা না পেয়ে খামার থেকে দিনদুপুরে গরু-ছাগল লুট হয়েছে। পুলিশ পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল উদ্ধার করলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়
স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীকাইল ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী খামারি কামরুল (৩৮) বলেন, ‘শ্রীকাইল গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে ফুল মিয়া আমার
কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেয়ে সোমবার দুপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গরুর খামারে হামলা চালায়। তখন খামারের সিসিটিভি ভাংচুর করে পিকআপ ভ্যান যোগে আমার পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমি ওইদিন
সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ দেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্থানীয় মেম্বার গোলাম কিবরিয়া ও শ্রীকাইল ইউনিয়ন যুবলীগ
সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মঙ্গলবার ভোররাতে গরুগুলো ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে খামারে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার ওসি সাথে কথা বললে তিনি ঘটনাটি সমাধান করে দেন। তবে ফুল মিয়া দুষ্ট লোক তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও
ছিনতাইসহ একধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাই আমি আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফুল মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
ইউনয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘ওসি সারের নির্দেশে শ্রীকাইল গ্রামের ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে কামরুলের খামারে দিয়ে এসেছি।
বাকি বিয়ষটি ইউপি চেয়ারম্যান দেখবেন।’ শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার বলেন, ‘গরুগুলো পুলিশের সহযোগিতায়
ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। আমি ঢাকায় আছি। এলাকায় এসে উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দিব। বিষয়টি ওসি সাহেব জানেন।’
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গরুগুলো ফুল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কামরুলের খামারে পৌছে দেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি
সমাধানের দায়িত্ব নেওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে অভিযুক্ত ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।