রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেছেন, দিল্লি বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনের গাঁজা মনে করে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ৬০০ মানুষ কে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বিএসএফ। সীমান্তে বিএসএফ যখনই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আমরা প্রতিবাদ করেছি। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের রুশানলে পরে আমরা স্বাধীনভাবে প্রতিবাদ করতে পারিনি। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে । ভারতের সকল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হবে এবং সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেলানী ও স্বর্ণা দাসের মত আমাদের আর কোন বোনকে যেন বিএসএফ গুলি করে হত্যা করতে না পারে। বর্তমান সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ভারতে বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালত দারস্থ হবে।
ফরিদুল হক শনিবার (৭ ই সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বর্ণা দাশের পরিবার খোঁজখবর নিতে তাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ পরবর্তী গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য প্রীতম দাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, রাষ্ট্র চিন্তা সদস্য মোঃ আরিফুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদস্য সাহেদ আহমেদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দিবাকর দাশ প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ার লালারচক সীমান্তের পাশে বিএসএফের গুলিতে জুড়ীর স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী নিহত হন।সোন্না দাসের লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ লাশ ফেরত দিতে বাধ্য হয় বাধ্য হন।