আমদানি বাড়ায় কয়েকদিন বাড়তি থাকার পরে আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারীতে পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১ টাকা করে। দুদিন আগেও প্রতি কেজি পেয়াজ প্রকারভেদে ২৫ থেকে ২৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৪ থেকে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দাম কমায় খুশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, ইন্দোর ও নাসিক এই দুই জাতের পেয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। বন্দরে আমদানিকৃত ইন্দোর জাতের পেয়াজ প্রকারভেদে পাইকারীতে (ট্রাকসেল) ২৪ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা দুদিন আগেও ২৫ থেকে ২৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া নাসিক জাতের পেয়াজ কয়েকদিন ধরেই ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব হোসেন বলেন, কিছুদিন পূর্বে বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। এতে করে পেয়াজের পড়তা না থাকায় পেয়াজ কিনে মোকামে পাঠানোয় লোকশান গুনতে হচ্ছিল। বর্তমানে সেই অবস্থা অনেকটা কেটে গিয়েছে এখন পেয়াজের আমদানি ভালো হওয়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে এতে করে পেয়াজ কিনে মোকামে পাঠানো যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমনি কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন ও পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেয়াজের কিছুটা চাহীদা বাড়ায় ও দাম বাড়তির দিকে থাকায় পেয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। এতে করে বন্দর দিয়ে আগে যেখানে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হতো এখন সেখানে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। যার কারনে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। এছাড়া গতকয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারনে আমদানিকৃত পেয়াজের মান খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলেও দামের উপর প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও বাজারে দেশীয় পেয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে যে পেয়াজ ৪০টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল সেটি এখন কমে ৩৫ থেকে ৩৬টাকায় নেমেছে এর এটা প্রভাব পড়েছে আমদানিকৃত পেয়াজের দামের উপর। পেয়াজের দাম আরো কমবে ২০ থেকে ২২টাকায় নামবে বলে তারা জানিয়েছেন। পেয়াজের দাম নির্ভর করে আমদানির উপর আমদানি বাড়লে দাম কমবে আর আমদানি কমলে দাম বাড়বে এটিই নিয়ম এখানে সিন্ডিকেটের কিছু নেই।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমান কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার বন্দর দিয়ে ২৪টি ট্রাকে ৬৮৯টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। রবিবার বন্দর দিয়ে ২৫ট্রাকে ৪৮৫টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। আর পেয়াজ যেহেতু কাচামাল দ্রুত পচনশীল পণ্য তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করে দ্রুত বন্দর থেকে খালাসের সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24