আমদানি বাড়ায় সপ্তাহজুড়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজের দাম কমা অব্যাহত রয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায় মাত্র দুদিনের ব্যবধানে পাইকাড়িতে (ট্রাকসেল) পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২টাকা করে। দুদিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের পেয়াজ ২৮টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে প্রকারভেদে ২৬টাকা থেকে ২৮টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নগর জাতের পেয়াজ ১টাকা কমে ৩২ থেকে ৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগে ৩৩টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে মসলা জাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেয়াজের দাম কমতির দিকে অব্যাহত থাকায় খুশি বন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি কমে আসায় দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে ছিল। তবে পুজার বন্ধ শেষে ভারতের বিভিন্ন পেয়াজের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে পেয়াজ লোডিং শুরু হওয়ায় গত সপ্তাহ থেকেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বাড়তির দিকে রয়েছে। একইভাবে দেশের সবগুলো বন্দর দিয়েই পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যার কারনে দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। এছাড়া দেশীয় পেয়াজের দাম কম হওয়ার কারনে এবং নতুন জাতের পাতা পেয়াজ উঠতে শুরু করায় আমদানিকৃত ভারতীয় পেয়াজের চাহীদা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে যার কারনে আমদানিকৃত পেয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। গতসপ্তাহ থেকেই বন্দর দিয়ে পেয়াজের বাড়তি আমদানি অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার বন্দর দিয়ে ২০টি ট্রাকে ৫৭৫টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। যেখানে এর আগে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি ৩ থেকে ৫ট্রাকে নেমে এসেছিল। আজো বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।