বিপদ প্রতিদিন আসে না, প্রতি মাসেও না, এমনকি প্রতি বছরও না। বিপদ আসে একদিন। ওই একদিনই একটা জীবনকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে। যদিও বিপদ বলেকয়ে আসে না, তবুও বিপদ এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হয়। ঘরে যদি শিশু থাকে তাহলে তো আরও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। একটু ভুলে বা অসচেতনতায় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কোনো বিপদ। এমনকি তছনছ হয়ে যেতে পারে কোনো পরিবার বা জীবন।
পরিবারের শিশুর জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে, এমন কিছু বিষয় আজ জেনে নেব—
সেফটিপিন, পেরেক, স্টেপেলার পিন, ব্লেড, চুলের কাঁটা, হিজাব পিন, আংটি, ছোট গহনা— এসব বাসার যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। এগুলো শিশুর পেটে ঢুকে গেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এমনকি এগুলো দ্বারা শিশু মারাত্মক রকম জখমও হতে পারে। ছুরি, কাঁচি, নেইলকাটার, জীবাণু ও কীটনাশক শিশুর জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে। এসব শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
মুখে ঢোকানো যায়, এমন কোনো ছোট খেলনা শিশুকে দেওয়া যাবে না।
ভুলেও শিশুর পাতে কাটাওয়ালা মাছ দেওয়া যাবে না। অবশ্যই কাটা বেছে দিতে হবে।
দা-বটি, হাতুড়ি, টেস্টার, স্ক্রু ড্রাইভার এসব নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।
ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সুই এগুলো শিশুর কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে হবে।
বাসার মাল্টিপ্লাগ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। দেয়ালে প্লাগের ফুটোও বন্ধ রাখতে হবে।
দরজা আছে এমন সব আসবাবপত্র তালাবদ্ধ করে রাখতে হবে। ‘সেফটি লক’ ব্যবহার করতে হবে। যেমন আসবাবের কোণার জন্য ‘কর্নার প্যাড’, দরজায় ‘ডোর স্টপার’, ঘরের নিচের দিকে প্লাগের ‘সকেট কাভার’, দরজায় ও সিঁড়িতে ছোট গেট বা ‘চাইল্ড প্রুফিং গেট’ বসানো। এসব বস্তু অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়।
ফরহাদ/অননিউজ