দুর্নীতির অভিযোগে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের ৬ বছর জেল
অনলাইন ডেস্ক।।
দুর্নীতির অভিযোগে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজ, একজন বন্ধুকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রশাসনের দুর্নীতির আশ্রয় নেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) তিনজন বিচারকের গঠিত প্যানেল তার বিরুদ্ধে এ রায় দেন। তবে তার জেলে থাকার প্রয়োজন নেই।
ফার্নান্দেজ তার সরকারি ভূমিকার জন্য কিছুটা ছাড় পেয়েছেন এবং তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আদালত তাকে আজীবনের জন্য পাবলিক অফিস থেকেও নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় প্রসিকিউটররা ফার্নান্দেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। প্রসিকিউটরা জানান, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন।
তবে, ফার্নান্দেজ বলেছেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এপি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়ের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নিজেকে ‘বিচারিক মাফিয়ার শিকার’ বলে মন্তব্য করেছেন।
রায়ের আগে, তিনি প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপবাদ দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন।
আর্জেন্টিনায় এই প্রথম কোনো ভাইস-প্রেসিডেন্ট অফিসে থাকাকালীন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে জোট সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
এদিকে, একই মামলায় একটি নির্মাণ সংস্থার মালিক ব্যবসায়ী লাজারো বেজ এই প্রকল্পের প্রধান সুবিধাভোগী হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন, তাকেও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থপাচারের দায়ে গত বছর তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, এই মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছিল। একই সঙ্গে সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া হয় এবং তাদের সাড়ে তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এই মামলায় মুক্তি পেয়েছেন তিনজন। আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে যায়।
গত ১ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ডি কির্চনারকে গুলি করার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ক্রিস্টিনাকে বন্দুক তাক করার ফুটেজ সম্প্রচার করে সে সময়। এতে দেখা যায়, ক্রিস্টিনা তার গাড়ি থেকে নামার সময় এক ব্যক্তি তার মাথায় বন্দুক তাক করেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ সে সময় বলেন, ডি কির্চনার বেঁচে গেছেন কারণ বন্দুকটিতে পাঁচটি বুলেট ছিল, কিন্তু তা ফায়ার হয়নি।
সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা