দুর্নীতির অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ছয় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের আদালত। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুর্নীতির চার মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। এর আগে দেশদ্রোহীতা, দুর্নীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সামরিক আদালত।
সম্প্রতি অং সান সু চিকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজধানী নেপিডোর একটি নির্জন কারাগারে। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলার শুনানিতে এখন সেখান থেকেই অংশ নিচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ডাও খিন কি ফাউন্ডেশনের তহবিলের অপব্যবহার, সরকারি মালিকানাধীন জায়গা বিশেষ ছাড়ে লিজ নেওয়া এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়ি তৈরির দায়ে নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী অং সান সুচি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সময় নোবেল জয়ী সু চি গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে তার এ মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্যরা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীও কথা বলার সুযোগ পাননি।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদদের গঠিত মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার অং বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতদের অপমান করার জন্য জান্তার মরিয়া প্রচেষ্টার আরেকটি কাজ’।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা করে আসছে। রুদ্ধদ্বার শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সু চির আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা