দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দূর্নীতি মামলায় নড়াইল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস সহ ৬ জনের ৭ বছরের সাজা বহাল রেখেছে যশোরের আদালত। বৃহস্পতিবার(২২আগষ্ট ) যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের হাজিরা দিলে আদালত তাদের সাজা মওকুফের আবেদন(লিভ টু আপিল) বাতিল করে সাজা বহালের রায় প্রদান করেন। পরে আদালত আসামীদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নড়াইল পোরসভার সাবেক মেয়র ও পরবর্তী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, নড়াইল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, তৎকালীন কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বাচ্চু, কমিশনার আহম্মদ আলী খান, কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কমিশনার মোহাম্মদ তেলায়েত হোসেন বাবু।
মামলার বিবরনে জানা যায়,নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ পশুরহাটের ২০০৯ সালে হাট-বাজার ইজারা নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে ৩ সনের ইজারা মূল্য ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬’শ ৬৫ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট পৌরমেয়র সহ ৮ জনের নামে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়। বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালত দন্ডবিধি ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি দেন। দন্ডবিধি ৪০৯ ধারায় প্রত্যেককে ৩বছর এবং ৫(২) ধারায় ৪ বছর করে শাস্তি প্রদান করে এবং প্রত্যেককে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার জরিমানা করেন।
উল্লেখ্য,দুদকের মামলায় সাজা হওয়ায় মামলায় যুক্ত থাকা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াসকে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর এবং সাবেক পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ^াসকে ৬ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ^াস মারা যাওয়ায় মামলা থেকে অব্যহতি পান।
যশোর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চ আদালতে করা লিভ টু আপিলে আসামীদের নি¤œ আদালতে হাজিরা দেবার আদেশ দেয়া হয়েছিলো। আদালত তাদের লিভ টু আপিল খারিজ করে সাজা বহাল রেখেছেন। এই মামলায় নি¤œ আদালতের জামিন দেবার এখতিয়ার নেই, তারা পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে পারবেন।