দৃষ্টিনন্দন পানের ভাস্কর্য মহেশখালীতে নির্মিত হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক।।

মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পানের ভাস্কর্য। উক্ত ভাস্কর্যের সাথে থাকছে পাবিলিক সিটি, নামাজের ব্যবস্থা, পর্যটকদের জন্য শপিং, উন্নতমানের রেষ্টুরেন্টের ব্যবস্থা ও পাবলিক টয়লেট। এজন্য দুই কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এটি সম্পূর্ণ নির্মিত হলে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজারের মহেশখালী গোরকঘাটা জেটি ঘাট সংলগ্ন এ ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। এসময় আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ‘বর্তমান সরকার না চাইতে কক্সবাজারকে অনেক কিছু দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বড় বড় মেঘাপ্রকল্প গুলো কক্সবাজার উন্নয়নের জন্য দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে সিঙ্গাপুরের আদলে রূপ দিতে চায় সরকার।’

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘মহেশখালীর মানুষের দু:খ-দুর্দশা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় জেটি নির্মাণ করবে মহেশখালীতে। বর্তমানে মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শুরু করে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘পানের ভাস্কর্য’ পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রশংসার দাবি রাখে।’

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর ‘পানের ভাস্কর্য’ দিয়ে উন্নয়নের যাত্রা শুরু হল। এই ভাস্কর্য সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হলে পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কক্সবাজারের উন্নয়নের সকলের সহযোগিতা দরকার।’ কক্সবাজার উনয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর (অব) মোহাম্মদ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিনসহ আরো অনেকে।

ফরহাদ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ