কুমিল্লার দুঃখ নামক "গোমতী নদী "যেন এখন মাটিদসূদের দখলে। জেলার দেবিদ্বারে উপজেলার গোমতী নদী থেকে অবৈধ ঝূকিপূর্ন টাক্ট্রর দিয়ে চলছে মাটি উত্তোলন ইটভাটা গুলোতে ইটের কাঁচামাল মাল হিসাবে প্রতিদিন শতাধিক এর বেশি ট্রাক্টর দিয়ে অবাধে মাটি উত্তোলন করছে। মাটি পরিবহন এর জন্য ব্যবহৃত ঢালু স্থান তৈরী করতে কাটতে হচ্ছে ঢালু স্থান। যার কারনে ঝুকিতে রয়েছে গোমতী প্রতিরক্ষা বেরীবাধ।
শীত শুরু'হতেই চলছে দেবিদ্বারে গোমতী নদীর ৩০/৪০ টি পয়েন্ট দিয়ে মাটি উত্তোলন করা হয় উত্তোলনের ফলে নদী-তীরবর্তী আবাদি জমি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পড়ছে। বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেন না। মাটি তোলার ফলে ওই এলাকার আবাদি জমির পাশাপানি হুমকিতে পড়ছে বেরীবাধের রাস্তা।
কৃষক রহমত আলী বলেন, ‘কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু ও মাটি উত্তোলন। এ বালু দিয়ে রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। গোমতী নদীতে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে তার খেসারত দিতে হয় নদী ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির। অনেক গাছপালা যায় নদীগর্ভে।
এলাকাবাসীর দাবী করছেন, অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এদিকে কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান,নদীর ভিতর থেকে মাটি কাটাঁ বন্ধে সম্পূর্ণ তত্বাবধাক জেলা প্রশাসক ,আমি জেলা প্রশাসক’কে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
অন্যদিকে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুন উন নবী তালুকদার বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকা তৈরী করে দ্রæত সময়ের মধ্যে মাটি কাটাঁ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে কয়েকটি টিম গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24