নামাজ পড়ার আহবান করায় এলোপাথারি মারধরে আহত আজিজুল হক হৃদয় (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্র একদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মুগসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের লিটন মিয়ার পুত্র এবং এগারগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজিজুল হক হৃদয় বুধবার আসর নামাজের সময় মসজিদে যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম পোমকাড়া গ্রামের আবদুল মোনাফের পুত্র ইদ্রিস মিয়াকে (৩৫) নামাজ পড়তে আহবান জানায়। তখন হৃদয়কে গালমন্দ করলে তাদের দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে ইদ্রিস মিয়া ও তার সহযোগি মুগসাইর গ্রামের মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ কমল দাস ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজুল হক হৃদয়কে মারধর এবং এলোপাথরি লাথি মারতে থাকে। তাদের মারধরে আহত হৃদয় তলপেটের তীব্র ব্যাথায় চিৎকার শুরু করে। গুরতর অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে হৃদয়ের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর জানান, লাশের গায়ে আঘাতের কোন প্রকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যেহেতু মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাই ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলেই তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে নিশ্চিত হওয়া যাবে।