দেবিদ্বারে মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।

কুমিল্লার দেবিদ্বার বল্লভপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী পদে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিত অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে ওই এলাকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ওই মাদরাসার অফিস সহকারি ও ঝাড়–দার পদের জন্য গত ৭ অক্টোবর দুপুরে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা হয়। দেবিদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহসহ নিয়োগ কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিতিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত এক প্রতিনিধি এই লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা নেন। পরিক্ষা শেষে সবাইকে ফলাফল জানান মাদরাসার সভাপতি ফুলমিয়া মাষ্টার। প্রকাশের পর থেকে জনমহলে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা।

অফিস সহকারি পদের জন্য আবেদন করে পরীক্ষা দেওয়া মাজহারুল ইসলাম জানায় মাদরাসার সভাপতি ও সুপারের তার কাছে নয় লক্ষ টাকা দাবি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো দুুইজন প্রার্থী জানায়, কমিটির সেচ্ছাচারিতার শিকার হয়েছেন তারা। পরিক্ষার দিয়ে অফিস সহকারি পদে যে প্রথম হয়েছে, তার দ্বারা কখনোই পাস করা সম্ভব ছিল না। তাদেরদে চোখের সামনেই তাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে অনেকে। এখন তারা পুনরায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
বলভপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ফুলমিয়া মাস্টার ও সুপার গোলাম মোস্তফা নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা দুজনে জানায়, ডিজি মহোদয় যদি আবার পরিক্ষা নেয় নিবে। আমরা সত্য আছি। নতুন করে পরিক্ষা নিলে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। পরিক্ষায় যে যোগ্য সেই পাশ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে, অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরিক্ষায় প্রথম হওয়া অলিউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

দেবিদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ জানায়, তারা ওই মাদরাসার সুপারের কাছে লিখিত করুক। অভিযোগের সঠিত উত্তর না পেলে সেই অভিযোগের কপি আমাদের কাছে প্রেরণ করলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নিব।

আরো দেখুনঃ