স্থগিত দেবিদ্বার উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন।
গত(৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের দলীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- সমন্বয়হীনতার অভিযোগে ২৬ জানুয়ারি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি স্থগিত করে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগ। পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭ জনের সাথে সমন্বয় করে কমিটি পুন:গঠনের জন্য নির্দেশা দেয়া হয়। কিন্তু ৭ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আপনারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা বা জেলার সভাপতির সাথে কোন যোগাযোগ করেন নি। বরং আপনার বিভিন্ন কার্যক্রম করার পায়তারা করছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ অচিরেই সমন্বিত পূর্নাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এমতাবস্থায় দেবিদ্বার উপজেলা আ’লীগের সমন্বিত পূর্নাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি না হওয়া পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হল। উল্লেখ্য যে, সম্মেলনে নির্বাচিত নেতবৃন্দ সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে পারবেন।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি দেবিদ্বার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক উল্লেখ করেন, বিগত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকটি পদে নেতা নির্বাচিত হয় এবং পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি করার জন্য স্থানীয় এম.পি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সি, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক রোশান আলী মাষ্টার, নবনির্বাচিত সভাপতি এ কে এম শফিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী, বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৭ জনকে দায়িত্ব প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। কিন্তু আপনারা কোন সমন্বয় না করে চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি মনগড়া একটি কমিটি উপস্থাপন করেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বলেন উপরোক্ত ৭ জনের সাথে সমন্বয় করে কমিটি করেছেন।
কিন্তু উল্লেখিত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন সমন্বয়হীনতার কথা জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর অভিযোগ দাখিল করলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৎক্ষনাৎ দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ না করার জন্য আপনাদেরকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু আপনারা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশনা অমান্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কমিটি প্রকাশ করেন। এই কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় এম.পি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং তৃনমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয় এবং এলাকায় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এমতাবস্থায় দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ব্যতিত প্রকাশিত কার্যনির্বাহী কমিটি স্থগিত করা হলো। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত ৭ জনকে নিয়ে সমন্বয় করে দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হল।