স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কুমিল্লার দেবীদ্বারে নির্ভুল তথ্য ভান্ডার গড়তে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধনসহ তথ্য প্রযুক্তির সকল প্রকার সেবা সাধারনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে ক্যাম্প করে তথ্য সংগ্রহ করে তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন নিজ দায়িত্বে। উপজেলার ১০নং গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মো: হুমায়ুন কবিরের এ উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে মানুষের মাঝে।
আজ সোমবার সকালে গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ‘নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ব’ এই শ্লোগানে শতাধিক সেবা গ্রহিতার উপস্থিতিতে ৪টি গ্রুপে চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: হুমায়ুন কবিরের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এ নিবন্ধন কার্যক্রম, যা চলবে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এতে জনগণের সময় ও অর্থ দু’টোই সাশ্রয় হচ্ছে এবং কমছে হয়রানি এমনটাই জানিয়েছেন ৩ নং ওয়ার্ডের সেবা গ্রহিতা আবু মুছা, আব্দুর রহিম, মিনোয়ারা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম। তারা আরো জানান, আগে ঘন্টার পর ঘন্টাই নয়, দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হত। জনগনকে ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইন দিয়ে জন্মসনদ নিতে হতো। অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে কয়েকবার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হতো। আর এখন চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে ল্যাপটপ, মডেম ও প্রিন্টার নিয়ে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সরাসরি গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ নির্ভুলভাবে প্রদান করছেন। নির্ধারিত তারিখের আগে এলাকায় মাইকিং ও প্রচার পত্র বিলি এবং গ্রাম পুলিশদের সহায়তায় গ্রাহকদের জানান দেয়া হয়।
গুনাইঘর দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, আগে জন্মনিবন্ধনকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিলো। অনেককেই নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। গুনতে হয়েছে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব ভোগান্তি লাঘবে নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করাসহ সরকারি সেবা জনগণের কাছে সহজে পৌঁছে দেয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তিনি আরো জানান, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে দুই দিন করে চলমান এ কার্যক্রমের প্রথম পর্যায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী জানান, ১০ নং গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগটি জনবান্ধব ও প্রশংসনীয়। আমি এ কার্যক্রমের ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় এটা একটি উদাহরণ হতে পারে। ভবিষ্যতে এ উদ্যোগটি দেবীদ্বার উপজেলায় ‘পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহন করার ইচ্ছা আছে।