কুমিল্লার দেবীদ্বারে বিয়ের প্রলোভনে চার দিন আটকে রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার চরবাকর গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিয়াজ (১৯) ও ভিক্টিম কিশোরী(১৬)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ।
ওই ঘটনায় ভিক্টিম কিশোরীর মা’(৩৫) বাদী হয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ২০০০সালের ৯(১), সংশোধনী ২০০৩ ধারায় জাফরগঞ্জ গ্রামের রুস্তম আলীর পুত্র মো. রিয়াজ ওরফে রিমন(১৯)কে একমাত্র আসামী করে দেবীদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী ভিক্টিম কিশোরীর মা’(৩৫) জানান, প্রায় ৬মাস পূর্বে সিএনজি যোগে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া-আসার সুবাধে সিএনজি চালক রিয়াজের সাথে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে সে আমার মেয়েকে পছন্দ করে বলে জানিয়েছিল। গত ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় আমার মেয়ে কালিকাপুর হয়ে বাড়ি আসার পথে রিয়াজ বিয়ের প্রলোভনে তাকে নিয়ে চরবাকর গ্রামের সিএনজির মালিক মো. মিজানুর রহমানের বাড়িতে উঠে এবং সেখানে স্ত্রীর পরিচয়ে ৪ দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। আমি খবর পেয়ে চরবাকর মিজানের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সন্ধ্যান পাই এবং সে আমাকে বিস্তারিত জানায়। তিনি আরো জানান, প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে তার স্বামী আবুল হোসেন তাকে তালাক দিয়ে আাে একটি বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হন, পরে তিনিও একই গ্রামের মো. আলেক মেম্বারের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। একমাত্র মেয়ে পিতা- মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তার নানার বাড়িতে থেকে বড় হয়। বর্তমানে সে সাইচাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে।
সোমবার দুপুরে (৩ এপ্রিল) আটক রিয়াজকে কুমিল্লা ৪ নং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে হাজির করা হয়। শোনানী শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওমর ফারুক অভিযুক্ত রিয়াজকে জেল হাজতে এবং ভিক্টিম কিশোরীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খাদেমুল বাহার জানান, কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে, আসামী গ্রেফতারপূর্বক কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে।