হঠাৎ করেই দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠায় চালের মুল্য নিয়ন্ত্রনে সারাদেশেই চালের মিল ও দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। এর সুফল মিলতে শুরু করেছে দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র দুদিনের ব্যাবধানে কেজিতে দাম কমেছে ৩ থেকে ৪টাকা করে।চালের দাম কমায় খুশি জানিয়ে আরো দাম কমার দাবী ক্রেতাদের। এদিকে সামনের দিনে দাম আরো কমবে বলে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন হিলির চালের বাজারঘুরে দেখা গেছে, সবগুলো চালের দোকানেই চালের ভালো মজুদ রয়েছে। পুর্বের চেয়ে চালের সরবরাহ বাড়ায় সবধরনের চালের দাম কেজিতে ৩/৪টাকা করে কমেছে। মিনিকেট জাতের চাল ৬৮টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা থেকে কমে ৬৪টাকা, স্থানীয় স্বর্না জাতের চাল ৪৬ থেকে ৪৮টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অটোমিলের স্বর্না-৫ জাতের চাল ৫২ থেকে কমে ৫০টাকা, নাজিরশাইল চাল ৫২ থেকে ৫৫টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা থেকে কমে ৫০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা খালেদ হোসেন বলেন, নতুন ধান উঠার পরেও বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। কেজি প্রতি ৬/৭টাকা করে চালের দাম বেড়ে যায় এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষদের চাল কিনে খাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। তবে দুদিনের ব্যবধানে চালের দাম কমতে শুরু করেছে তবে আমরা চাই চালের দাম পুর্বে যেমন ছিল তেমন যেন থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য ওএমএসসহ কমমুল্যে সরকারের পক্ষ থেকে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা হয় সেই দাবী জানাচ্ছি।
হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা সুজন কুন্ডু বলেন, ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ও অটো চাল মালিকদের নিকট চাল চাইলেও তারা চাল বিক্রি বন্ধ করে রেখেছিলেন। এতে করে হঠাৎ করে বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়তি হতে শুরু করে কেজিতে ৬/৭টাকা করে চালের দাম বেড়ে যায় কিছু চালে ১০টাকাও বেড়ে যায়। তবে দুদিনের ব্যধানে এখন চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এই দাম কমার কারন হলো পুর্বে যে মিলাররা চাল দিচ্ছিলনা এখন তারা মিল থেকে চাল ছাড়তিছে যার কারনে বাজারে চাল আসতিছে। এছাড়া আমরা এখন আগের চেয়ে কিছুটা কমদামে চাল কিনতে পারছি যার কারনে কমদামে বিক্রি করতে পারছি।
হিলি বাজারের অপর চাল বিক্রেতা সুব্রত কুন্ডু বলেন, সরকারের পদক্ষেপের কারনে বাজারে এখন মিলাররা চাল ছাড়তিছে যার কারনে বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে এতে করেই চালের দাম এখন কমতিছে। এখন পর্যন্ত যেসব চাল বাজারে আসছে এগুলো সব স্থানীয় মিলারদের তবে এখনো অটোমিল ও বড় বড় মিলারদের চাল বাজারে আসেনি এগুলো বাজারে আসলে দাম আরো কমবে বলে জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, চালের মুল্য নিয়ন্ত্রনে ও চাল নিয়ে কারসাজি রুখতে চালের দোকান ও মিলগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই একচাল মিলসহ ৫জন চাল ব্যবসায়ীকে ৩৮হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে মজুদ থাকা চালগুলো দ্রæততমসময়ের মধ্যে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আমরা চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য সহনিয় পর্যায়ে রাখতে নিয়মিত এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com