প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,দ্বৈত নাগরিকত্বের অযুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি সে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন, সনদের প্রয়োজন নেই তাকে এনআইডি দিতে হবে।
সোমবার (১০ জুন) “এনআইডি সংশোধনের আবেদন সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ” শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এনআইডি এখনো শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে কমপ্লেইন করেন, যে পরিবর্তন, সংশোধন করতে হবে। আবার সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে৷ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না। কিছু কিছু সংকট আমাদের আছে। এনআইডি ব্যবস্থাপনা একটি হাইলি কমপ্লিকেটেড। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ আসলে তাকে সেবা দিতে যেন বিলম্ব না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিবাহের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনো কোনো দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনাটা হবে না।
নাগরিকদের ঠিকানা পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়৷ আমার হয়তো অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু বস্তিতে থাকেন ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কী এনআইডি সংশোধন করতে পারবো, সে দিকটাও দেখতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বেওয়ারিশ লাশ শনাক্তকরণ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে এনআইডির ব্যবহার হচ্ছে৷ এটা আমাদের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে। এটার প্রয়োজন ছিল৷
সিইসি বলেন, এনআইডি নিয়ে যে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে, প্রায়ই শুনি এ ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে৷ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছেন৷ অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায় সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। এই জিনিসগুলো গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কোনো একটা উপায় বের করতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরাও দোষী হয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, সংশোধনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর থাকে, যে কোনো আবেদনে কত সময় লাগবে তাহলে কেউ বিলম্ব করলেন কিনা তা ধরা যাবে। কেউ যদি ১০ টা দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এনআইডি পাবেন৷ দ্বৈত নাগরিকত্বের অযুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি সে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন, সনদের প্রয়োজন নেই তাকে এনআইডি দিতে হবে।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24