কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক কুমিল্লা সদর থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাপ্তাহিক হাজির থাকার শর্তে জামিন পেয়েছেন। আদালত দুই মামলার মধ্যে একটি মামলার জামিন পেলেন তিনি। তবে এবার তার নিজ গ্রামের এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা দেবিদ্বার থানার আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর এ কারনে ছাত্রলীগ নেতা অনিক সহসাই কারা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রোববার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং এর আগে একই দিন সকালে আরেকটি ধর্ষণ মামলায় তাকে প্রতি সপ্তাহে হাজির থাকার শর্তে জামিন দেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক কাজী আব্বাস উদ্দিন।
আদালতে ছাত্রলীগ নেতা আবু কাউছার অনিকের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল ও বাদী পক্ষের আইনজীবি মো. আক্তার হামিদ খান কবির জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় আসামি আবু কাউছার অনিককে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জমা দেন দেবিদ্বার উপজেলার শান্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে কুমিল্লা সদর থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষন মামলায় আসামি আবু কাউছার অনিককে গত ২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে কক্সবাজারের কলাতলি এলাকার সোনার বাংলা হোটেলের সামনে থেকে র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে সদর থানার মামলায় অনিককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর দেবিদ্বার থানায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলো পিবিআই।