কুমিল্লার লালমাইয়ে দু’হাতের রগকাটা অবস্থায় ফারুক হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ভুশ্চি গ্রামে ধানক্ষেত থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফারুক হোসেন ভুশ্চি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি মুজিবনগর রাস্তার মাথায় মুদি মালামালের ব্যবসা করতেন। পরিবারের দাবি ফারুক হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত থেকেই নিখোঁজ হন ফারুক। সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে তার লাশ মিলে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা রুজুর প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানায় পরিবার। দেশে এসে মুদি দোকানের ব্যবসা করতো এবং মাঝেমধ্যে তার বাবার সাথে ক্ষেত-খামারেও কাজ করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক শাহিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন।, সোমবার সকালে কাঁছিয়াপুকুরিয়া ও ভাটরা এলাকার মধ্যবর্তী ভুশ্চি-হরিশ্চর সড়ক ঘেঁষে নিহত ফারুক হোসেন কিছুটা দক্ষিণে ভুশ্চি মৌজায় ধানক্ষেতে ঘাস কাটতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফারুকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা উদ্ধার করেছি।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মরদেহের দুই হাতের রগকাটা ছিল এবং পাশে দুটি ধারালো নতুন ব্লেড পড়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে রগকাটার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের চাচা সোবহান সর্দার জানান, আমাদের সাথে কারও শত্রুতা নেই। গতকাল মাগরিবের পর ভাতিজা ফারুক হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে সকালে শুনতে পাই তাকে কে বা কারা হত্যা করে ধানক্ষেতে পেলে রেখেছে। আমরা থানায় মামলা করবো। নিহত ফারুকের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুর রহমান বলেন, আমি ফেসবুকে ছবি দেখে জানতে পারি ধানক্ষেতে ফারুকের লাশ উদ্ধার পড়ে আছে। পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। দেখে মনে হয়েছে, হত্যা করে লাশটি ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। ছেলেটি আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।