বগুড়ার ধুনটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ অতপর গর্ভপাত ঘটিয়ে ভ্রুণ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে আসাদুল সেখ (৪০) নামের এক ব্যাক্তি ও ফরহাদ হোসেন (৫৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। আসাদুল শেখ উপজেলার হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে ও ফরহাদ হোসেন উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের কেএম আবুল ফজলের ছেলে। ২৪ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ভ্রুণ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২২ বছর আগে উপজেলার সাগাটিয়া গ্রামের এক দিনমজুরের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ের (৩৫) পাশের গ্রামে বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তার গর্ভে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর তাকে ছেড়ে স্বামী হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তার মেয়ে বর্তমানে ঢাকায় পোষাক কারখানায় চাকরি করে। ফলে প্রতিবন্ধী ওই নারী সাগাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করতে থাকে। এ সুযোগে পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আসাদুল সেখ (৪০) ওই নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন আসাদুল শেখ পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেনের সহযোগিতায় ২১ এপ্রিল সকালে ওই নারীকে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত করানো হয়। পরে ভ্রুণটি বাড়ির পাশে জমিতে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হওয়ার এক পর্যায়ে রোববার মধ্যরাতে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘাসের জমি থেকে ভ্রুণ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার সকালে আসাদুল সেখ ও ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পরে আসাদুল শেখ গ্রেফতার হয়। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন ও মুল হোতা আসাদুল শেখকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শান্ত/অননিউজ