ধোবাউড়ায় তরুনী হত্যাকান্ডের মুলহোতা গ্রেফতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে উদ্বার অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করে ডিবি পুলিশ। একই সাথে হত্যায় জড়িত প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুর থেকে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রাজ্জাক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় দায় স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়।

ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়েই পুলিশ লাশ শনাক্ত করণে কাজ শুরু করে। লাশের পরিহিত প্যান্টের পকেটে পাওয়া জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সুত্রধরে নিহত তরুনীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়। নিহত তরুণীর নাম রিবা আক্তার (১৫)। সে নরসিংদীর মাধবদীর খিলাগাও গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। দুলাল মিয়া গাছা এলাকার একজন অটো চালক।

ওসি আরো জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম বুধবার সন্ধ্যায় মূল আসামী আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার টাংগা মধ্যপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত রাজ্জাক গাজীপুরের গাছা এলাকায় বসবাসকালীন সময়ে তরুনী রিবা আক্তারের সাথে সর্ম্পক গড়ে উঠে। রিবা আক্তারকে সংবাদকর্মীর চাকুরীর প্রলোভনে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল (৬০) দুই মাস পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পরে রাজ্জাকের কাছে চাকুরী ও স্ত্রীর মর্যাদা পেতে চাপ দেয় রিবা।

অপরদিকে রাজ্জাকের সাথে তার সহোদর ভাই আমিনুল ইসলামের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সহোদর আমিনুল ইসলামকে হত্যা মামলার মত গুরুতর অপরাধে ফাঁসিয়ে দিতে এবং রিবা আক্তারের চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ জন্য আমিনুলের সাথে জমিজমার বিরোধে জড়িত অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে রাজ্জাক হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনানুযায়ী ১৪ মার্চ আব্দুর রাজ্জাক রিবা আক্তারকে গাজীপুর থেকে ধোবাউড়ায় নিজ বাড়ীতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে আসে।
পরিকল্পনানুযায়ী ধোবাউড়ার গোয়াতলা কংশ নদীর তীরে দুই হত্যাকারীর কাছে রিবাকে হস্তান্তর করে। চক্রটি রিবাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর রিবার ব্যবহৃত মোবাইলটি রাজ্জাক নিয়ে যায়।

এদিকে আমিনুল ও তার পরিবারের অন্যান্যদেরকে হত্যাকান্ডে ফাঁসাতে লাশের প্যান্টের পকেটে আমিনুল ইসলামের ছেলে শহিদুল¬াহ ও রিবার জন্ম সনদের ফটোকপি রেখে দেয়। পরে লাশ আমিনুলের বাড়ীর পাশের ধান ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা চলছে। এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে ধোবাউড়া থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৬/০৩/২০২২ দায়ের হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজ্জাককে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো দেখুনঃ