দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের ১২৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায় এবং তা কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চলেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গ্রামের হাট-বাজার ও বিভিন্ন মোড়ে, পাড়া-মহল্লায় প্রার্থীদের ব্যানার আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কর্মী-সমর্থকদের নানা কৌশল ও পরামর্শ দিয়েছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ হাজার ৩০১ জন, মহিলা ৭৮ হাজার ৭১৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।
নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ৬০৮ জন এবং ৫৩টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ২৯১ এবং অস্থায়ী ১৩টি। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন।
অপরদিকে, পত্নীতলা উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন।
নির্বাচনে ৭১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৮০৪ জন এবং ৭১টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ১২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
ধামইরহাট ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা খাতুন এবং পত্নীতলার ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার টুকটুক তালুকদার বলেন, এ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শতভাগ উৎসবমুখর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ৮ প্লাটুন বিজিবিসহ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন ও সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ, আনসার ৬৩৬ জন, পুলিশের মোবাইল টিম ১৩টি, স্ট্রাইকিং টিম ৩টি ও ৬টি চেকপোস্ট কাজ করছে।
এফআর/অননিউজ