জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ৩২ মণ ওজনের একটি ষাঁড় সবার নজর কারছে। এ যেন এক ঐরাবত। মালিক তার নাম রেখেছেন লায়ন খুররম। খাবার, আকৃতি ও চলাফেরার কারণে রাখা হয়েছে এমন নাম। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাঁড়টি। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাকে দেখতে মালিকের বাড়িতে ভীর জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। ষাঁড়টি পালন করেছেন পৌর এলাকার হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের রিয়াদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন চৌধুরী সিকান্দার। তিনি এর দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ টাকা।
ষাঁড়টির মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি নিজ বাড়িতেই লায়ন খুররমের জন্ম হয়। সেই সময় থেকেই তিনি লালন-পালন করে আসছেন। বিশাল আকৃতির এই ষাড়টি ফ্রিজিয়ান জাতের। ষাড়টির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৩২ মণ। এর জন্য সম্ভাব্য মূল্য ধরা করা হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। নিজ বাড়িতে তিনি গত ৫ বছর ধরে এই ষাড় পালন করছেন। তার পালিত বৃহৎ আকৃতির সাদা কালো রংয়ের ষাড়টি নজর কেরেছে সবার। ষাড়টি দেখতে তার বাড়িতে ভীর করছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত উৎসুক জনতা।
গরুটির মালিক সিকান্দার বলেন, গরুটি আমি নিজে পাঁচ বছর ধরে পালন করছি। তাকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শত টাকার খাবার খায় এই ষাঁড়। আসন্ন কোরবানির জন্য গরুটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনার জন্য ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করছেন। আশানুরুপ দাম পেলে বিক্রয় করবো।
ষাঁড়টি দেখতে আসা শিবলু নামের এক ব্যক্তি বলেন, সচরাচর এই ধরণের বিশাল আকৃতির গরু চোখে পড়ে না। খবর পেয়ে গরুটি দেখতে এসেছি। ষাঁড় সম্পর্কে অনেক তথ্যও জানতে পারলাম। একে দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। সর্বোপরি ষাঁড়টি দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, মূলত কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এবং শখের বসে খামারিরা এধরণের ষাঁড় লালন-পালন করেন। তাঁর পালিত ষাঁড়টি বিশাল আকৃতির। লায়ন খুররমকে প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে দেখভাল ও নজরদারি করা হচ্ছে। উপজেলায় এবারের ঈদে ২৪ হাজার গরুর বিপরীতে ৩৫ হাজার প্রস্তুত আছে।
সূত্রঃ বিডি24লাইভ
একে/অননিউজ24