নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিয়া উপজেলাবাসীর আয়োজনে শনিবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীরমুক্তিযোদ্ধা খান লুৎফর রহমান, কালিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আসলাম ভূঁইয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সেক্রেটারি ইয়াসিন জনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ কালিয়ায় যোগদানের পর নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি টাকা আত্মসাত, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি বীরমুুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সঙ্গতকারণে ডাক্তার শশাঙ্ককে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট কালিয়ায় যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষাসমূহ চালু করাসহ সেবার মান বৃদ্ধিতে একটি মহল আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, রোগী কল্যাণ সমিতির ওষুধের বদলে টাকা গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ডাক্তার শশাঙ্ক। কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় সংশ্লিষ্টরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে, ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের আগের কর্মস্থল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় থাকাকালীন নানা অনিয়মের ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।