নড়াইলের পাখিমারা গ্রামে জমি দখলের চেষ্টা, অসহায় ব্যক্তির চায়ের দোকান ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের নড়াগাতী থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারে সমীর ভক্ত (৪৮) নামে এক চা দোকানির জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এ কারণে তার চায়ের দোকানের টিনের চালাও ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ভোরে বল্লাহাটি গ্রামের ইয়াকুব শিকদারসহ তার তিন ছেলে সুজ্জল, ইকবাল ও আনিচুর শিকদার ছাড়াও অন্তত ১৫জন লোক সমীর ভক্তের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে দুই শতক জমি দখলের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় তারা চায়ের দোকানের টিনের চালা ভেঙ্গে বাজারের পেছনে ফেলে দেয় এবং দোকানের আশেপাশে থাকা কলাগাছসহ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে। এমনকি জমি দখল করে পাঁকাঘর তোলার উদ্দেশ্যে রাতারাতি ইট এনে জড়ো করেছে প্রতিপক্ষরা।
ভুক্তভোগী সমীর ভক্ত জানান, এর আগেও প্রতিপক্ষ ইয়াকুব শিকদারের লোকজন প্রায় চার মাস আগে তার চায়ের দোকানসহ জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। এ কারণে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন সমীর ভক্ত। পরবর্তীতে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে দুই হাজার টাকার বন্ডে অঙ্গীকার করেন যে, তারা সমীর ভক্তসহ তার দোকানে আর হামলা চালাবেন না।
এ অঙ্গীকার অমান্য করে প্রতিপক্ষ ইয়াকুব শিকদারের লোকজন সমীর ভক্তের দোকানে দু’দফা হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে গত ১২ জুন রাত ১টার দিকে সমীরের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। এরপর গতকাল (১ জুলাই) ভোরে আবারও হামলা চালিয়ে সমীরের চায়ের দোকানের টিনের চালা ভেঙ্গে অন্যত্র ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় সমীর ভক্তকে হত্যারও হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দোকান ভেঙ্গে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় চা বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে সমীর ভক্তের। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সমীরের পরিবার। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এদিকে ইয়াকুব শিকদারসহ তাদের লোকজন দোকান ভাঙচুরসহ প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারা দাবি করেন, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন।
এ ব্যাপারে নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, পাখিমারা বাজারের ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। গতকাল ভোরে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।