নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক এনাকে (৫০) কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে এনামুল হক এনা মেম্বরের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এনা রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনার পর এনা মেম্বরের লোকজন পাল্টা প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষ খায়রুজ্জামান সহ ৩টি বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে।
আহত এনামুল হকের ছোট ভাইয়ে স্ত্রী লতা বেগম বলেন, ‘ গত বছর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এনামুল হক এনা মেম্বর ও খায়রুজ্জামানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। রবিবার জোহরের নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথেই খায়রুজ্জামান গ্রæপের লোকেরা অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এনা মেম্বরকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এনা মেম্বরের চিৎকারে স্বজনেরা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে এনা মেম্বরের বাম হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায় এবং হাত পায়ে একাধিক কোপে মারাত্মক ভাবে জখম হয়। তাকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
প্রতিপক্ষ খায়রুজ্জামানের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘এনা মেম্বর গ্রæপের লোকেরা জোর করে আমাদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে মুল্যবান আসবাপত্র ভাংচুর করে এবং স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া আমাদের পক্ষের সুবেদার (অবঃ) তমজীদ ও ইকরামুল শেখের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এনা মেম্বরের লোকজনদের হামলায় রঘুনাথপুর গ্রামের সাকায়েত হোসেনের ছেলে হিমুকে(৪০) কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।
কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ তাসমিম আলম বলেন, ‘ ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।