নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ইতনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কোন্দলের জের ধরে খুলনায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান কাজীকে (৪৬) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাংকারচর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ইমরান কাজী পাংকারচর গ্রামের নজীর কাজীর ছেলে। তার ভাই কাজী বশির হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ইমরান বর্তমানে খুলনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত আছেন।
আহত ইমরানের বড় ভাই কাজী বশির আহমেদ বলেন, ‘ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইমরান গ্রামের বাড়িতে রওনা হন। পথিমধ্যে পাংকারচর গ্রামের পাকার মাথা বটতলা এলাকায় পৌঁছালে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিপক্ষের ১২০/১২জন অস্ত্রধারীরা তাকে রাস্তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করার পর পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রানা কাজী বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধওে ইতনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আরজ আলী কাজী ওরফ লিচু কাজী ও রুবেল সরদারসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন কাজী ইমরান আহমেদের ওপর হামলা চালায়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় স্থানীয় কেউ আমরা আগাতে সাহস পাইনি। ঘটনা ঘটিয়ে তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকা ত্যাগ করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বুলেট উদ্ধার করেছে।’
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ‘ঘটনার খবর শোনর পর দ্রæত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আপাতত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’