নড়াইলে গরুর খামারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের নারানপুর গ্রামের জাহিদ খানের গরুর খামারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দিনগত রাতে গরুর খাবারের মধ্যে কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়ে গরুগুলি হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে খামারের মালিক অভিযোগ করেছেন।

বিষযুক্ত পানি ও খাবার খেয়ে ৪টি বিদেশী অন্তঃসত্তা গরু এবং একটি বাছুর অসুস্থ্য হয়েছে। সকাল থেকে চিকিৎসা চললেও এখনও আশংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক। গত এক মাসের মধ্যে ৭ লাখ টাকা মুল্যের ২টি গরু মারা যায়।

খামার মালিক জাহিদ খান জানান, তিনি ২০ বছর ধরে আড়াই একর জমির ওপর দেশী-বিদেশী জাতের সমন্বয়ে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। খামারে বর্তমানে বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৩০টির অধিক গরু রয়েছে। বর্তমান এসব গরুর বাজার মুল্য কোটি টাকার উপরে। প্রতিদিন ১৪টি গাভী গড়ে দেড়শত কেজি করে দুধ দেয়।

তিনি আরো জানান, শনিবার (৩ জুন) সকালে খামারে এসে দেখেন দক্ষিন পাশের্^র সেডের ৪টি অন্তঃসত্তা ও ১টি গরু অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েছে। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে। পরে দেখা যায় যেসব পাত্রে (চাড়ি) গরু খাবার খেয়ে থাকে, সেই পাত্রের পানির রং নীল। সন্দেহ করা হচ্ছে শুক্রবার রাত ১২টার পর কোনো এক সময়ে এই পানিতে ও খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে। কেননা খাবারের পাত্রের পানি বেগুনি কালার ধারণ করেছে। পাশে শুকনা জায়গাতেও ছোট ছোট বিষের দানা পড়ে থাকায় সেখানেও বেগুনি রং ধারণ করেছে। ফুরাডান বিষ প্রয়োগে গরুগুলিকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

জাহিদ খান বলেন, ‘গত এক মাসের মধ্যে আমার প্রায় ৭ লাখ টাকার দু’টি গরুকে মেরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় শত্রæতার কারণে তার খামারে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমার সাথে শত্রæতা থাকতে পারে। কিন্তু পশুর সাথে এমন শত্রæতা করে লাভ কি? এর প্রতিকার না হলে কোটি টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে নড়াইলের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অনন্ত পাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খাবারের সাথে বিষ মেশানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চুড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না। গরুগুলির চিকিৎসা চলছে।’

সদর থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরো দেখুনঃ